Wife Want 15 Days With Lover: ১৫ রাত বর, ১৫ রাত প্রেমিকের সঙ্গে কাটাতে চাই’ , অবাক করা দাবি ১০ বার পালানো গৃহবধূর! মহিলার এমন কথায় হতবাক খোদ স্বামীও! তারপর কি হল ?
প্রেম বড়ো বালাই, কিন্তু স্বামীকেও যে ছাড়া যাবে না, তাই এক অদ্ভুত দাবি করে বসলেন উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলার এক মহিলা। যা শুনে হাঁ হয়ে গেলেন পঞ্চায়েতে উপস্থিত সকল মানুষজন-সহ গোটা গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলার আজিম নগর থানা এলাকার এক বিবাহিত মহিলার। জানা গিয়েছে, প্রায় বছর দেড়েক আগে পাশের গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই গৃহবধূর। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে তান্ডা এলাকার অন্য এক যুবকের সঙ্গে। আর এর পর থেকেই শুরু হয় পালানো-ফিরে আসার নাটক। প্রায় এক বছরে ওই মহিলা ৯ বার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান এবং প্রত্যেকবারই পঞ্চায়েত বা পুলিশের মাধ্যমে তাকে স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

দিন দশেক আগেও আচমকা বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ওই বধূ। বউকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ জানান বেচারা স্বামী। এরপর পুলিশ তাকে প্রেমিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ফের স্বামীর হাতে তুলে দেয়। কিন্তু সেখানে মাত্র এক রাত কাটিয়েই পরদিন সকালে আবার প্রেমিকের কাছে ফিরে যান তিনি। এবার ওই যুবক নিজেই তার স্ত্রী-কে ফেরাতে হাজির হন প্রেমিকের বাড়ি। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি ফিরে যেতে তিনি সরাসরি মানা করে দেন। অবশেষে এক প্রকার বাধ্য হয়ে পরিবারের লোকজন পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন। এরপর ভরা পঞ্চায়েতে আচমকাই ওই মহিলা দাবি করে বসেন, তিনি মাসের ১৫দিন স্বামীর সঙ্গে থাকবেন এবং বাকি ১৫দিন প্রেমিকের সঙ্গে থাকবেন। যথারীতি তার এমন প্রস্তাব শুনে হতবাক হয়ে যান সেখানে উপস্থিত সকল মানুষজন। আর স্বামী? ওই যুবক এক প্রকার হতাশ হয়ে হাতজোড় করে বলেন, “আমাকে ক্ষমা করো, এখন থেকে তুমি তোমার প্রেমিকের সঙ্গেই থাকো।”

হ্যাঁ, স্ত্রীয়ের তরফ থেকে এমন কথা শুনে স্বামী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর সম্পর্ক চালিয়ে যেতে চান না। তবে ওই গৃহবধূ নিজের সিদ্ধান্তেই অনড়, তিনি স্বামী এবং প্রেমিকের মধ্যে সমানভাবে সময় কাটাতে চান। বর্তমানে এই ঘটনাটি গ্রামের আলোচনার হট টপিক হয়ে উঠেছে। প্রবীণদের দাবি, তারা জীবনে স্বামী-স্ত্রীর অনেক সমস্যাই দেখেছেন, কিন্তু এরকম ঘটনা কখনো দেখেননি। তাছাড়া, পঞ্চায়েত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমাধানের পথ বের করে দেয়, কিন্তু ১৫-১৫ দিনের সময় কাটানোর এমন কথা এই প্রথম শোনা গেল। এরকম ঘটনা আপনি কি আগে কখনও দেখেছেন? দেখলে সেই ঘটনা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন।



