🇮🇳 ভারতের মেয়েরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন : ভারত কন্যারা আজ দাপিয়ে বেড়ালো বিশ্ব ক্রিকেটে !
আজ ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে লেখা হল এক নতুন অধ্যায় ! অবশেষে, তৃতীয় বারের চেষ্টায় শাপমুক্তি
ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের ! ব্যাটে-বলে নজর কাড়লেন শেফালি বর্মা ও দীপ্তি শর্মা । মহিলা বিশ্বকাপের ট্রফি এবার ভারতীয় কন্যাদের নামে ! আজ আর কোনো অংশে পিছিয়ে রইলেন না ভারতীয় নারীরা…
ঘরের মাঠে ইতিহাস গড়ল হরমনপ্রীতের দল। ফাইনালে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে ভারতের মেয়েরা প্রমাণ করে দিল — তারা শুধু খেলোয়াড় নয়, তারা দেশের গর্ব, তারা ভারতীয় নারীশক্তির প্রতীক!
শুরুটা সহজ ছিল না। রবিবারের আকাশ ভরা বৃষ্টি যেন ভারতীয় সমর্থকদের হৃদয়ের ধকধকানির সঙ্গে একাকার হয়ে গিয়েছিল। দু’ঘণ্টা দেরিতে শুরু হল ফাইনাল। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লরা উলভার্ট টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু জানতেন না, ভারতের মেয়েদের আগুন ঝরা ব্যাটিং ঝড়ে সব পরিকল্পনা উড়ে যাবে!

চোটের কারণে প্রতিকা রাওয়াল ছিটকে গিয়েছিলেন, আর সেই জায়গায় সুযোগ পেলেন তরুণ শেফালি বর্মা। কী দাপুটে ব্যাটিং! প্রথম বল থেকেই আগ্রাসী শেফালি যেন এক ঝড় তুললেন মাঠে। পাশে স্মৃতি মন্ধানা দিলেন দৃঢ় সঙ্গ। দুই ওপেনারের ব্যাট থেকে এলো শতরানের জুটি — গ্যালারিতে শুধু ভারত! ভারত! ভারত!
শেফালি আজ ইতিহাস গড়েছেন। মাত্র ২১ বছর ২৭৮ দিনে বিশ্বকাপ ফাইনালে অর্ধশতরান — পুরুষ ও নারী মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে কমবয়সী ওপেনার হিসেবে এই কীর্তি। ভিরেন্দ্র সহবাগের পুরনো রেকর্ড ভেঙে আজ নিজের আইডলকেই ছাপিয়ে গেলেন শেফালি!
৭৮ বলে ৮৭ রানের ইনিংস — প্রতিটি শটে ছিল সাহস, ছিল আত্মবিশ্বাস, ছিল ভারতের নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন।
মন্ধানা ৪৫ রানে আউট হলেও তাঁর অবদান ছিল অনন্য। শেফালি যখন ক্র্যাম্পে কষ্ট পাচ্ছিলেন, তখনও চোখে ছিল জয়ের আগুন। এই দৃশ্যই প্রমাণ করে — ভারতীয় মেয়েরা হার মানে না! এরপর মঞ্চে আসেন দীপ্তি শর্মা ও রিচা ঘোষ। দেশের মাটিতে, হাজার হাজার দর্শকের সামনে এই দুই ক্রিকেটার দেখালেন কীভাবে ধৈর্য আর আক্রমণ একসঙ্গে চলে। দীপ্তির ব্যাটে পরিণত দায়িত্ব, রিচার ব্যাটে ছিল ঝলসানো ছক্কার আগুন। রিচা ২৪ বলে ৩৪ রান, আর দীপ্তি শান্ত মাথায় গড়ে তুললেন ৫৮ রানের অমূল্য ইনিংস।

শেষে ভারতের স্কোরবোর্ডে ঝলমল করল ২৯৮ রান — এক অবিস্মরণীয় সংগ্রহ। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং শুরুতেই চাপ তৈরি করলেন ভারতীয় বোলাররা। হরমনপ্রীতের নেতৃত্বে মাঠে দেখা গেল আগুনে স্পিরিট। একে একে সাজঘরে ফিরলেন প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত ৪৫.৩ ওভারে ২৪৬ রানে অলআউট দক্ষিণ আফ্রিকা।
আর সেই মুহূর্ত— যখন শেষ উইকেটটি পড়ল, মাঠে ছড়িয়ে পড়ল ভারতের জয়ধ্বনি। হরমনপ্রীতের চোখে জল, দীপ্তির মুখে হাসি, শেফালির হাতে পতাকা — যেন প্রতিটি নারী আজ বলছে, “আমরাও পারি!” 🇮🇳✨
এই জয় শুধু ক্রিকেটের নয়। এই জয় ভারতীয় মেয়েদের আত্মবিশ্বাসের, এই জয় কোটি নারীর স্বপ্নের, এই জয় এক নতুন ভারতের।
আজ হরমনপ্রীত, শেফালি, দীপ্তি, রিচারা শুধু ট্রফি নয়, তুলে ধরলেন এক বার্তা —
নারীরা পিছিয়ে নয়, নারীরাই আজ ভারতের শক্তি! ❤️🇮🇳



