Sri Sathya Sai Baba Hospital in Bangalore : এখানে নেই কোনও ক্যাশ কাউন্টার, নেই কোনো বিলের চিন্তা ! ধনী থেকে গরিব সবার জন্য সমান চিকিৎসার সুবিধা! দেশ-বিদেশ থেকে আসছেন হাজারো রোগী ! সাই বাবা হাসপাতাল, যেখানে সেবা বড় টাকা নয় !
ভাবুন তো – একটা হাসপাতাল, যেখানে আপনার সবচেয়ে জটিল রোগও সারিয়ে দেওয়া হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। কোনও বিল কাউন্টার নেই, নেই টাকা-পয়সার লেনদেন। ডাক্তাররা শুধু চিকিৎসা করেন, আর রোগীরা ফিরে যান সুস্থ শরীরে। অবিশ্বাস্য শোনালেও, ভারতের বুকে এমন হাসপাতাল সত্যিই আছে – শ্রী সত্য সাই ইনস্টিটিউট অফ হায়ার মেডিকেল সায়েন্সেস।
কলকাতা থেকে এই হাসপাতালে যেতে হলে কিছুটা দীর্ঘ যাত্রা করতে হয়। মূল সদর দপ্তর অন্ধ্রপ্রদেশের পুট্টাপর্তিতে। হাওড়া থেকে ট্রেনে চেপে সত্যনারায়ণ রেলস্টেশন পর্যন্ত যেতে হয়, সেখান থেকে অটোতে ২০ মিনিটের পথ। চাইলে বেঙ্গালুরু বা হোয়াইটফিল্ড হয়ে গিয়েও পৌঁছানো যায়। কলকাতা থেকে পুরো যাত্রা সময় লাগে ৩০ থেকে ৩৬ ঘণ্টা।
এ হাসপাতালের আরও একটি শাখা আছে বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ডে। এখানে ধনী-গরিব ভেদাভেদ ছাড়াই সবার চিকিৎসা হয়। শুধু কাগজপত্র ঠিক থাকলেই আপনি ভর্তি হতে পারবেন, আর চিকিৎসা পাবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। সাধারণ তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যায় +91 8028004600 নম্বরে।
শ্রী সত্য সাই ইনস্টিটিউট অফ হায়ার মেডিকেল সায়েন্সেস – এই হাসপাতাল সাই বাবা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নামে সকলের কাছে পরিচিত – এটি সাই বাবা১৯ জানুয়ারি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন । হাসপাতালের মূল লক্ষ্য ছিল, অর্থনৈতিক অবস্থা বা সামাজিক পরিচয় যাই হোক না কেন, সবাইকে উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া। তাই এখানে কার্যত “সবাইকে ভালোবাসো, সবার সেবা করো” নীতিতে কাজ হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও মানুষ এখানে চিকিৎসার জন্য আসেন। অনেকেই জানেন না, এই হাসপাতালে কীভাবে চিকিৎসা হয়- তাই এই তথ্য জানা খুব জরুরি। কারণ এখানে কার্ডিওলজি থেকে নিউরোলজি, জটিল অস্ত্রোপচার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা – সবই হয়, আর এক টাকাও খরচ করতে হয় না।
স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া অনেক সময় কঠিন মনে হতে পারে, বিশেষত যখন বিনামূল্যে চিকিৎসার সন্ধান চলছে। কিন্তু সাই বাবা হাসপাতাল এই ধারণাকে বদলে দিয়েছে। প্রতিটি রোগী এখানে সমান সম্মান পান, আর ডাক্তাররা সেবা দেন সর্বোচ্চ আন্তরিকতায়।
এই দুই হাসপাতাল শুধু উন্নত চিকিৎসাই দেয় না, মানবতার এক অনন্য উদাহরণও স্থাপন করেছে। এখানে চিকিৎসা মানে কেবল রোগ সারানো নয়, বরং মানুষের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনা।
যদি আপনি বা আপনার প্রিয়জন চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে যাওয়ার কথা ভাবেন, জেনে রাখুন- এখানে দরজা সবার জন্য খোলা, আর ফিরবেন আশা ভরা হৃদয় নিয়ে।
